রায়পুরায় মেঘনাই বিলীন শতাধিক বাড়িঘর, বাঁধ নির্মাণের জন্য মানববন্ধন।


বার্তা বিভাগ প্রকাশের সময় : জুলাই ৪, ২০২২, ৪:৩৯ অপরাহ্ন /
রায়পুরায় মেঘনাই বিলীন শতাধিক বাড়িঘর, বাঁধ নির্মাণের জন্য মানববন্ধন।

সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী গ্রামে মেঘনা নদী ভাঙ্গনে দেড় কিলোমিটার এলাকার প্রায় শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন ও শত শত কোটি টাকার মালামাল সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে বেড়ীবাঁধ নির্মানের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার । ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন নরসিংদী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন।

আজ সোমবার ( ৪ জুলাই ) সকালে নরসিংদীর রায়পুরা পলাশতলী গ্রামের মেঘনা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরির্দশন করেছেন নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মাসুম, রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আজগর হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মো: সাজ্জাদ হোসেন ,শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ মুর্শেদ খান রাশেল, শ্রীনগর ইউপি সভাপতি আব্দুল মোতালিব, পলাশতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি আব্দুল বাছেদ সহ স্হানীয় নেতৃবৃন্দ।
স্হানীয়রা জানান , নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের চরপলাশতলী গ্রামটিতে প্রায় ৪ হাজার লোকের বসবাস। এখানে দাখিল মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়,মসজিদ, কবরস্থান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ গ্রামটি প্রায় ৪০ বছর যাবৎ মেঘনা নদী ভাঙ্গনে কয়েক শতাধিক বিঘা ফসলি জমি বসত বাড়ী গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে শত শত কোটি টাকা মালামাল সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার নদী ভাঙ্গন রোধে বেড়ীবাঁধ নির্মানের দাবী করে আসছে। বেড়ীবাঁধ নির্মান না করায় তাদের ভয়াবহ ক্ষতির শিকার হয়েছে।
পলাশতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি আব্দুল বাছেদ বলেন, গত দুই দিনের নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো ভয়ে আতংকে দিশাহারা, তাদের মাথা গুছার ঠাই নাই তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দ্রত ব্যবস্হা গ্রহন না করা হলে গ্রামের অবশিষ্ট অংশ ও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পার । বেড়ীবাঁধ নির্মানের জন্য প্রশাসন দীর্ঘদিন যাবৎ আশ্বাস দিয়ে আসছে কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা আর আশ্বাস চাইনা, বেড়ীবাঁধ নির্মান বাস্তবায়ন চাই। রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো : আজগর হোসেন বলেন, আমরা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। গতকাল নতুন করে নদী ভাঙ্গনে ৪০ থেকে ৫০ টি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, রায়পুরার নদী ভাঙ্গন রোধে ব্লক নির্মাণের জন‍্য একটি প্রস্তাবনা জমা দেয়া হয়েছে। এটি অনুমোদন হলে বর্ষার পানি কমলেই আমরা কাজ শুরু করব ।