নরসিংদীতে গারদে আটক বন্দীকে খাবার না দেওয়ার অভিযোগ


বার্তা বিভাগ প্রকাশের সময় : মে ১, ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন /
নরসিংদীতে গারদে আটক বন্দীকে খাবার না দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :-

নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত গারদখানার এক বন্দীর স্বজনদের কাছ থেকে পুলিশ টাকা নিয়েও খাবার না দেওয়ার অভিযোগ করছেন বন্দীর স্বজনরা।
সোমবার(২৯ এপ্রিল) দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত গারদখানায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বজনেরা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আলী নামে একবন্দীকে আদালতের নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী জেল হাজত থেকে আদালতে হাজির করানোর জন্য নিয়ে আসেন। তাকে রাখা হয় আদালতের ভিতর অবস্থতি গারদখানায়। খবর পেয়ে স্বজনরা বন্দীর জন্য খাবার নিয়ে দেখা করতে গেলে গারদখানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কাছে ৩ হাজার টাকা দাবী করেন। পরে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে স্বজনদের সাথে বন্দীর দেখা ও খাবার দেওয়ার বিষয়টি রাজি হয় পুলিশ। এরপর ওই বন্দীকে আদালতের ২য় তলায় নিয়ে দুই মিনিটের জন্য দেখা করার সুযোগ করে দিলেও দাবীকৃত আরো ১ হাজার টাকা না দেওয়ায় বন্দীর স্বজনদের সাথে অসদাচর করে বন্দী মোহাম্মদ আলীকে খাবার না দেওয়ার অভিযোগ করেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে পরে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বন্দীর স্বজনেরা। পরে ওই ঘটনায় দোষী পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবী জানান তারা। এ বিষয়ে পুলিশ সদস্যরা কোন কথা বলতে রাজি না হলেও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন বর্তমানে গারদখানায় বন্দীদের সাথে দেখা ও খাবার দেওয়া সম্পুর্ন বন্ধ রয়েছে কেউ করে থাকলে তাকে জিজ্ঞেস করুন। পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তদন্ত করে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্প্রীতি চলতি বছরের ৫ মার্চ নরসিংদী জেলা ছাত্রদল নেতা ও একাধিক মামলার আসামী ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে একটি মামলার হাজিরা দিতে জেলহাজত থেকে আদালতে আনা হয়। গারদে আনার পর একাধিক ছাত্রনেতা কেক নিয়ে হাজির হন। পরে তারা গারদের ভেতরে বসে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন। তাদের কেক কেটে নাহিদকে খাইয়ে দিতে দেখা গেছে। ওই সময় জন্মদিন উদযাপনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে
ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে ওই সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।