মহানায়কের জন্ম হয়েছিল বলেই এ দেশ স্বাধীন হয়েছে- এমপি নজরুল ইসলাম


বার্তা বিভাগ প্রকাশের সময় : মার্চ ১৭, ২০২৪, ৩:৩৬ অপরাহ্ন /
মহানায়কের জন্ম হয়েছিল বলেই এ দেশ স্বাধীন হয়েছে- এমপি নজরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিনিধি:-

জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই এ দেশ পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে স্বাধীন হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন নরসিংদী সদর-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (বীর প্রতীক) এমপি।
রবিবার(১৭ মার্চ) সকালে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু-কিশোর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টঙ্গী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়। জাতির এই মহানায়ক ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। তাঁর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে এ দেশকে মুক্ত করেন।বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় কিছু বিপদগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে স্বপরিবারে নিহত হন। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন এর সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রঞ্জন কুমার সাহা’র সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান, মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া, আসাদুজ্জামান খোকা, এস এম কাইয়ুম, ওয়ালিউর রহমান আজিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ সাত্তার ভূঁইয়া, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মোঃ রিপন সরকার, জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক কায়কোবাদ হোসেন কানু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন সুলতানা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন, সাবেক ভিপি মিয়া মোঃ মঞ্জুর, শহর যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার, শহর আওয়ামী লীগ নেতা দীপক কুমার সাহা প্রমুখ। এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার পূর্বে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (বীর প্রতীক) এমপি’র নেতৃত্বে দলীয় নেতৃকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।